ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোন নতুন নয়। অনেকেই এই অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন ইতোপূর্বে। এমনকি সেই তালিকায় নাম এসেছে হ্যান্সি ক্রনিয়ে, আজহার উদ্দিন, মোহাম্মাদ আমিরের মতো তারকার। তবে এবার ফিক্সিং নিয়ে বোমাই ফাটালেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। বললেন, তার সময়ে ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো আরো ভয়াবহ আকারে। শোয়েব বলেন, তিনি যখন ক্রিকেটে খেলেছেন তখন ম্যাচে উভয় দলেই ছিল ফিক্সার। কে ফিক্সার আর কে ভালো সেটি বোঝার উপায় ছিল না।
পাকিস্তনের একটি টিভি টক শোতে শোয়েব বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সাথে কখনও প্রতারণা করব না, ম্যাচ গড়াপেটা করব না- এই বিশ্বাস সবসময় আমার ছিল। কিন্তু আমার চারপাশে ঘিরে থাকত ম্যাচ ফিক্সাররা। আমাকে ২২ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হত(আসলে হবে ২১)। ওদের ১১ জন আর আমাদের ১০ জনের বিরুদ্ধে নামতে হত। কে ম্যাচ ফিক্সার, তা বোঝা যেত না। তখন খুব ম্যাচ ফিক্সিং হতো। মুহাম্মদ আসিফ তো একবার আমাকে বলেই ফেলেছিল যে, কোন ম্যাচগুলোয় ওরা গড়াপেটা করেছে আর তা কী ভাবে করেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই পেসার মুহাম্মদ আমির ও মুহাম্মদ আসিফ। ওপেনার সালমান বাটও সেই সময় স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হন পাঁচ বছরের জন্য। আমির-আসিফের ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা জেনে রেগে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শোয়েব।
বিষণ্ণ সুরে তিনি বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছিলাম আমির ও আসিফকে বোঝানোর। প্রতিভার কী অপচয়! যখন এটা শুনেছিলাম, এত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে, দেওয়ালে ঘুঁষি মেরে বসেছিলাম। পাকিস্তানের দুই সেরা বোলার, যাঁরা কি না স্মার্ট, বুদ্ধিমান এবং আদর্শ দুই পেসার, তারা এ ভাবে নিজেদের নষ্ট করল। সামান্য অর্থের জন্য নিজেদের বিক্রি করল ওরা।’ হিন্দুস্তান টাইমস